রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

কার্যকর সিটি করপোরেশনের প্রত্যাশায়

বাংলাদেশে পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশন নিয়ে নগর স্থানীয় সরকার গঠিত। নগর স্থানীয় সরকার আইনসভার মতো কাজ করে। এটি সিটি করপোরেশনের সাধারণ নীতি এবং কার্যকারিতা নিয়ে আলোচনা করে এবং বিতর্ক করে, শহুরে স্থানীয় সংস্থার বাজেট পাস করে, কর, সম্পদ বৃদ্ধি, পরিষেবার মূল্য নির্ধারণ এবং পৌর প্রশাসনের অন্যান্য দিকগুলির সাথে সম্পর্কিত বিস্তৃত নীতি তৈরি করে। নগর পরিকল্পনা শহুরে স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেখানে কর্তৃপক্ষকে জনগনের মৌলিক অবকাঠামো পরিষেবা (পরিবহন, জল এবং স্যানিটেশন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং বিনোদন) নিশ্চিত করতে হয়।

সিটি করপোরেশন বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলির মুখোমুখি হচ্ছে এবং সিটি করপোরেশনকে কার্যকর করার জন্য কীভাবে এই চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করা যায় সে সম্পর্কে আমি এই লেখায় সংক্ষেপে আলোচনা করব। উদ্বেগের বিষয় হল কেন্দ্রীয় প্রশাসন সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধান এবং নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা পরিচালিত হয় (মেয়র সহ) কিন্তু এর কার্যাবলী একটি সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যা সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এবং যারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না বলে ধারণা করা হয়। প্রতিনিধিত্ব ও তার মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং জনসাধারণের প্রতিক্রিয়াশীলতার প্রতি নজর দেয়ার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়েছে। শহর পর্যায়ে ভূমিহীনদের নাগরিকত্ব না থাকায় গ্রামীণ অভিবাসীদের বিশাল জনসমষ্টির স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার নেই। বাস্তবতা বলছে, একটি সিটি করপোরেশন স্বাধীনভাবে তার কর্ম পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারে এমন লক্ষণ খুব কম। দুর্ভাগ্যবশত, এই শহুরে স্থানীয় সংস্থাগুলি তাদের অর্গানোগ্রামের অনুমোদনসহ অনেক বিষয়ে আর্থিক সহায়তা এবং প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উপর নির্ভরশীল। সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাগুলি তাদের হার, কর, ফি বা এমনকি ছোট চার্জ সংশোধন করতে পারে না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ছাড়পত্র ছাড়া।

স্থানীয় মধ্যস্থতাকারীরা সক্রিয়ভাবে বস্তিবাসীদের এনজিও থেকে সুবিধা নিতে নিরুৎসাহিত করে এবং ফলস্বরূপ এনজিওগুলিকে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য এই স্থানীয় মধ্যস্থতাকারী নেটওয়ার্কগুলির সাথে মধ্যস্থতা করতে হয়। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায় থেকে কিছু প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। প্রথমত, স্থানীয় জনগণকে মৌলিক সেবা প্রদানের জন্য দায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা গড়ে তোলা প্রয়োজন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে জনবলের ঘাটতি রয়েছে এবং সরকারি কর্মকর্তাদের পরিষেবা পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন যা তাদের দায়িত্ব। আবার আর্থিক দিক বিবেচনা করলে দেখা যায়, বাজেট বরাদ্দের প্রক্রিয়াটি আনাড়ি এবং ধীর। প্রতিষ্ঠানগুলোরসিদ্ধান্ত গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকতে হবে । বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছু ওভারল্যাপিং ফাংশন রয়েছে, উদাহরণস্বরূপ, ডিসিসি এবং ঢাকা ওয়াসা উভয়ই ঢাকা মহানগরে পানি সরবরাহ করে।

দেশে বর্তমানে ১২টি সিটি করপোরেশন ছাড়াও ৩৩০টি পৌরসভা রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয় ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান এবং ব্লক বরাদ্দের উপর নির্ভরশীল। সম্পদের সীমাবদ্ধতার পাশাপাশি করদাতাদের প্রতি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবের ফলে টেকসইযোগ্যতা অর্জনের প্রচেষ্টা অদৃশ্য বলে মনে হচ্ছে। অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবল, কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বল মনিটরিং, পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলেছে। জনপ্রিয়তা অর্জনের জন্য আইন ভঙ্গ করে হলেও কাউন্সিলররা কর বৃদ্ধি বা নতুন কর আরোপকে সমর্থন করতে নারাজ। এভাবে ক্রমবর্ধমান শহুরে জনসংখ্যার চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সরকারকে রাজস্ব ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়।

সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমের জন্য এর কমিটিগুলোর কার্যকারিতা সহায়ক ভূমিকা পালন পারে। উদাহরণস্বরূপ, স্থায়ী কমিটি সদস্যদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার সুযোগ রয়েছে, যা বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের পূর্বশর্ত। কমিটির সভাগুলি সহযোগিতা এবং সমস্যা সমাধানের একটি ফোরাম হিসাবে কাজ করে। স্থায়ী কমিটির সদস্যদের জন্য প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিয়মিতভাবে আয়োজন করতে হবে যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারে।

সর্বোপরি সিটি করপোরেশনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার চেতনা সমুন্নত রাখতে কমিটিকে শক্তিশালী করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। জনসেবার পরিমাণগত ও গুণগত উন্নতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যাতে কোনও বিড়ম্বনা ছাড়াই সেসব সেবা-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া উচিত। ভূমি-ব্যবহার এবং ভবন নির্মাণের যথাযথ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নগর পরিকল্পনার উপর জোর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক, পরিবেশগত ও সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি। গার্হস্থ্য, শিল্প ও বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে জল সরবরাহ ত্বরান্বিত করতে হবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, জনস্বাস্থ্য, স্যানিটেশন এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে যেন সিটি করপোরেশনে বসবাসকারী নাগরিকরা সময়মতো সর্বোত্তম পরিষেবা পায়। এক্ষেত্রে কর্মদক্ষতাকে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মানদণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। স্থানীয় সরকার অবশ্যই তার নাগরিকের প্রতি দায়বদ্ধ। তাদেরকে সততার সাথে জনস্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া উচিত। নির্বাচনী সংস্কারের মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকারে সিটিজেন চার্টার/ নাগরিক সনদ ও সরকারি কর্মচারীদের প্রত্যাহারের ব্যবস্থার মতো আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের প্রয়োজন হতে পারে।

মেয়রের পর্যালোচনায় কর মওকুফের সংস্কৃতি বন্ধ করা এবং বর্তমানে প্রচলিত ব্লক বরাদ্দের পরিবর্তে কার্যক্ষমতাভিত্তিক অনুদান ব্যবস্থা কার্যকর করা উচিত।একটি অভিযোগ প্রতিকার কমিটি এবং স্টেকহোল্ডারদের দ্বারা প্রতিনিধিত্বে গঠিত একটি সমন্বয় কমিটি থাকা উচিত যাতে সোচ্চার হওয়া এবং জবাবদিহিতার একটি পদক্ষেপ হিসাবে কর্মক্ষমতা পর্যালোচনা করা যায়। সু-নগর শাসনের জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কার্যকর নেতৃত্বের সাথে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের, স্থানীয় পর্যায়ে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা, বেসরকারি খাত, এনজিও, সুশীল সমাজ এবং জনগণের অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ।

সিটি করপোরেশনের পরিষেবা প্রদানে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করা ও এর মাধ্যমে সমন্বয়ের ব্যর্থতা হ্রাস এবং স্থানীয় পরিষেবাসমূহকে উন্নত করা প্রয়োজন। এই স্তরে স্থানীয় জবাবদিহিতা এবং উন্নত কর্মক্ষমতা, উভয়ের অগ্রগতিকেই উৎসাহ দেয়া দরকার। দারিদ্র্যমুক্ত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে একটি শক্তিশালী স্থানীয় সরকার গড়ে তোলা আবশ্যক।

 

লেখক: ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভিজিটিং স্কলার (অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ)। ইমেইল: t.islam@juniv.edu

Header Ad
Header Ad

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  

ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ

সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে ২০১৬ সালে ‘বসগিরি’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে নাম লেখান শবনম বুবলী। একজন সংবাদ পাঠিকা থেকে হয়ে যান চিত্রনায়িকা।

সিনে ক্যারিয়ারের ৯ বছরের মাথায় নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। বুবলী নাম লেখালেন প্রযোজনায়। নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

জানা গেছে, বুবলীর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম বিগ প্রোডাকশন। এর ব্যানারে তৈরি হবে সিনেমা, নাটক, স্বল্পদৈর্ঘ্য, মিউজিক ভিডিও। কার্যক্রম শুরু হবে নাটক দিয়ে। যেটি নির্মিত হবে আগামী কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে। আর সিনেমার ঘোষণা আসবে আগামী বছর।

এ বিষয়ে বুবলী বলেন, প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে অনেক প্রোডাকশন হাউসের সিনেমায় অভিনয় করেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বিগ প্রোডাকশনের ভাবনা। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অনেক মেধাবী ও অভিজ্ঞ মানুষ যুক্ত হচ্ছেন। আমি সব সময় মানসম্পন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছি। প্রযোজক হিসেবেও চাইব ভালো কাজ উপহার দিতে।

প্রতিষ্ঠিত অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি নতুন শিল্পীদের নিয়েও বিশেষ ভাবনা আছে বুবলীর। তিনি বলেন, আমি চাই সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। এখানে প্রতিষ্ঠিত কলাকুশলীদের পাশাপাশি নতুনরাও থাকবেন। অনেকে হয়তো ভালো কাজ করেন, কিন্তু নতুন হওয়ার কারণে বড় কোনো কাজে সুযোগ পাচ্ছেন না। সেই শিল্পীদের নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা।

বিগ প্রোডাকশনের পরিকল্পনা জানিয়ে বুবলী বলেন, আমি সিনেমার মানুষ, তাই সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর জন্য আরও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। তাই চলতি বছর নাটক, শর্টফিল্ম, মিউজিক ভিডিও বানিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চাই। যাত্রাটা শুরু হবে কোরবানি ঈদের নাটক নিয়ে। এর পাশাপাশি অন্যান্য কাজ আসতে থাকবে। বিগ প্রোডাকশন থেকে সিনেমা নির্মাণ হবে আগামী বছর। সে সময় বড় আয়োজন করে ঘোষণা দেওয়া হবে।

এদিকে, অভিনয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন বুবলী। আসছে রোজার ঈদে একাধিক সিনেমায় তাকে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যেই ‘পিনিক’ ও ‘জংলি’ সিনেমা দুটির ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

প্রধান উপদেষ্টা সাথে দেখা করতে

চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  

ছবিঃ সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাছুদ, প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শরিফুল ইসলামের অপসারণ ও নতুন নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে এই সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে।

সকাল ৮টায় কুয়েট ক্যাম্পাস থেকে দুটি বাসে করে ৮০ শিক্ষার্থী ঢাকার পথে রওনা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের মাথায় লাল কাপড় বাঁধা ছিল।

ঢাকার পথে রওনার আগে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীন। এজন্য আমরা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করব। এরপর নিরাপদ জায়গায় চলে যাব। সেখান থেকেই অনলাইনে আমাদের কার্যক্রম চলবে। যতদিন দাবি পূরণ না হচ্ছে, ততদিন ক্যাম্পাসে ফিরব না।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই মুহূর্তে ক্যাম্পাস ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সাহস করে যেতে পারছি না । তাই নিজেদের অর্থায়নে ক্যাম্পাসে বাস ডেকে এনেছি।

'আমরা কুয়েট অথরিটির কাছে বাস সহায়তা চেয়েছিলাম। তারা আমাদের কোনো সহায়তা করেননি। সরকার যেহেতু আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তাই আমরা চোখে লাল কাপড় বেঁধে ক্যাম্পাস টোটালি শাটডাউন করে চলে যাচ্ছি। আমাদের দাবি পূরণ হওয়ার আগ পর্যন্ত কুয়েট ক্যাম্পাসে কোন রকমের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজ চলবে না, বলেন তারা।

তারা আরও বলেন, 'ঘটনার পাঁচ দিন পরেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ধরনের সহায়তার আশ্বাস আসেনি। আমাদের নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর চাপাতি, রামদা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে, যা জুলাই বিপ্লবের পর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন হামলা করতে কেউ সাহস করেনি । অথচ এই হামলায় আমাদের শিক্ষার্থীদের মাথা ফেটে গেছে ,হাত তিন টুকরো হয়ে গেছে।

যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই বিপ্লবের ওপর দাঁড়িয়েছে সেই সরকার আমাদের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর রক্ত ঝরার পরও যোগাযোগ করেনি । সেই সরকারকে আমাদের রক্তের দায় নিতে হবে। ইমেইলের মাধ্যমে স্মারকলিপি পাঠানোর তিন দিন পার হয়েছে, কিন্তু সরকারের থেকে কোনো সাড়া পাইনি। এই ক্যাম্পাস আমাদের জন্য সেফ না। যেখানে হামলার পর সশস্ত্র বাহিনী দ্বারা নিরাপত্তা দেওয়ার কথা সেখানে কুয়েটের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া কেউ নেই। আমাদের নিরাপত্তা এখন আমরাই দিয়ে যাচ্ছি।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, ক্যাম্পাসের বাইরে যেসব শিক্ষার্থী থাকে, তাদের বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে দিতে বলেছেন। তারা অনেক জায়গা থেকে হুমকি পাচ্ছেন। আমরা সবাই আতঙ্কিত, আমাদের পরিবার আতঙ্কিত। আমরা ক্যাম্পাসের ভিতরে বাইরে সেইফ না । আমরা অভিভাবকহীন। আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কেউ নেই।

তারা বলেন, ভিসিসহ কিছু শিক্ষক বলার চেষ্টা করছেন আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বক্তব্য। হামলাকারীরা স্পষ্ট এবং চিহ্নিত কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রক্তাক্ত কুয়েট প্রদর্শনীতে অস্ত্রধারীদের নাম পরিচয়, ছবি বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুয়েটে ছাত্রদল সমর্থক ও বিএনপির লোকদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমাদের মনে হচ্ছে কুয়েট প্রশাসনেরই সমস্যা রয়েছে।

এর আগে, প্রধান উপদেষ্টার কাছে ই-মেইলে চিঠি পাঠান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

চিঠিতে তারা উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তা স্বত্বেও ছাত্রদল ক্যাম্পাসে রাজনীতি শুরু করতে চাইলে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীরা ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিলের ডাক দেয়। এসময় কুয়েট ছাত্রদলের কর্মীরা হঠাৎ মিছিলে এসে ধাক্কা দিয়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেয়। এতে কুয়েট ছাত্রদল এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। ওই হামলায় কুয়েটের শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয় এবং চার ঘণ্টা যাবত এই হামলা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারেনি। এই মর্মে আমরা ভিসি ও প্রো-ভিসির পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করি।

Header Ad
Header Ad

বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  

ছবিঃ সংগৃহীত

নাটোরে বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে উচ্চ শব্দে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাসরঘরে ঢুকে বরকে মারধর ও বাসরঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বরের মা, নানীসহ আরও তিনজন।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাগাতিপাড়ার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু।

এ ঘটনায় শনিবার দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ওই গ্রামের মিন্টু আলী শাহের ছেলে আরাফাত শাহের (২১) সঙ্গে নাটোরের লালপুরের ওয়ালিয়া ছোটময়না এলাকার আব্দুল মজিদের মেয়ের বিয়ে হয়।

বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে দুইদিন ধরে বাড়িতে সাউন্ড বক্সে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে উদ্‌যাপন করেন আগত অতিথিরা।

বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল আওয়াল শাহ অভিযোগ করলে বরের বাবা মিন্টু বক্সের সাউন্ড কমিয়ে দেন।

পরে শুক্রবার রাতে ফের উচ্চশব্দে গান বাজালে আব্দুল আওয়াল শাহ ও তার ছেলেসহ স্থানীয় কয়েকজন এসে বর, তার মা, নানীসহ চারজনকে মারপিট করে। এসময় তারা বাসর ঘরটিও ভাঙচুর করেন।

মিন্টু আলী শাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে আব্দুল আওয়াল শাহ তার ছেলেসহ স্থানীয় তিনজন আমার ছেলেকে বাসর ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে মারপিট করেন।

এরপর তারা বাসর ঘরে ঢুকে বাড়িতে আগত অতিথিদের বলে- তোরা এখন গান বাজা, আমরা বাসর করবো।’ এরপর ঘরে থাকা খাটসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তারা।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আওয়াল শাহ বলেন, কয়েকদিন ধরে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে এলাকার কাউকে ঘুমাতে দিচ্ছে না বিয়ে বাড়ির লোকজন। আমরা তাদের গান বাজাতে মানা করেছি, কাউকে কোনো মারপিট করা হয়নি।

এ বিষয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এ ঘটনায় গ্রাম্যভাবে বসা হয়েছে, বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। বক্স বাজানোকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটছে।

তবে তিনি বলেন, ভাঙচুর করেনি, এগুলো মিথ্যা। এখন সেই সালিশে আছি, পরে কথা বলি।

তাহলে সালিশ করছেন কী নিয়ে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওইযে মারামারি করিছিল, তখন হয়তোবা ইয়া হইছে…। ওরা নিজেরাই হয়তো ভাঙচুর করি এখন ঝামেলা করতিছে।

এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, বিয়ে বাড়িতে সাউন্ড বক্স বাজাচ্ছিল সেই বিষয়কে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা হয়েছিল। বাসরঘরের ফুলটুল টান দিয়ে ছিঁড়ছে, অন্য কিছু না। গান বাজাচ্ছিল এ নিয়ে, রাগের মাথায় দুই একটু হয় না!

চারজন আহত হয়েছে জানেন কিনা জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাসরঘর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমি থানায় পাইনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু  
জিম্মিদের ফেরত পেয়েও ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিল না ইসরাইল  
জশ ইংলিসের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
১৫ বছর দলীয় বিবেচনায় অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়েছে: উপদেষ্টা ফারুক
দিনাজপুরের বিরামপুরে ৮ জুয়াড়ি গ্রেফতার
চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের আবির্ভাব, আবারও মহামারির শঙ্কা
নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রায়হান, সম্পাদক বেলায়েত
শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে ফুল আনতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রত্যেক শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে: মঈন খান
জামায়াত দাবি করে ২১ শে ফেব্রুয়ারির সমস্ত কৃতিত্ব তাদের: রনি
যুবদল নেতাকে কুপিয়ে জখম, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে আ.লীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস (ভিডিও)